ফের পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। বাংলার উপকূলে এবার কি ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম (Cyclone Migzaum)? অক্টোবরের শুরুতে হামুন, নভেম্বরে মিধিলির পরে এবার ডিসেম্বরের শুরুতে মিগজাউমের ধেয়ে আসার সম্ভাবনা। মিগজাউম নামটি দিয়েছে মায়ানমার। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি আগের হামুন ও মিধিলির থেকে শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এব্যাপারে আবহাওয়া দফতরের (Alipore Weather Office) তরফে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।
কী বলছে মৌসম ভবন? আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ২৫ নভেম্বর নাগাদ দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন এলাকার ওপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে। এর প্রভাবে ২৬ নভেম্বর নাগাদ দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন এলাকার ওপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা।
সৃষ্টি হবে গভীর নিম্নচাপ : আবহাওয়া দফতরের অনুমান, এই নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এবং ২৭ নভেম্বর নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন আন্দামান সাগরের ওপরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
এই গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ২৬-২৮ নভেম্বরের মধ্যে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। এই সময়ের মধ্যে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কোনও কোনও জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের প্রভাবে ২৬ নভেম্বর থেকে দক্ষিণ আন্দামান সাগর উত্তাল থাকবে। এই সময় ঝোড়ো হাওয়ার বেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ৪০-৪৫ কিমি। দমকা হাওয়ার বেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ৫৫ কিমি। পরবর্তী সময় অর্থাৎ ২৭ ও ২৮ নভেম্বর ঝোড়ো হাওয়ার বেগ বেড়ে ঘন্টায় ৪৫-৫৫ কিমি হতে পারে। দমকা হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘন্টায় ৬৫ কিমি।