দিল্লির দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিনে ভারতীয় দল যেন এক বিশেষ লক্ষ্য পূরণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। ভারতের (India) পাঁচ দিনের লড়াইয়ের এই পর্যায়ে পরিস্থিতি নিজেদের পক্ষে গেলেও চূড়ান্ত মুহূর্তে সবকিছু নির্ভর করছে মাত্র কয়েকটি রান আর কিছুটা ধৈর্যের উপর। তাই দর্শক-সমর্থকদের উত্তেজনা পঞ্চম দিনের জন্যই তুঙ্গে উঠেছে।
পরিস্থিতির চিত্র
শেষ ইনিংসে ভারতকে জয়ের জন্য দরকার ৫৮ রান। হাতে আছে নয় উইকেট—অর্থাৎ ম্যাচের লাগাম কার্যত ভারতের হাতে। তবে শুরুটা কিছুটা চমকে দেওয়ার মতোই ছিল। চার নম্বরে নেমে যশস্বী জয়সওয়াল আগ্রাসী ব্যাটিং করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম ওভারেই ফেরেন।
ম্যাচের বাঁক
তারপরেই দায়িত্ব নেন কেএল রাহুল ও সাই সুদর্শন, যারা সাবধানী ব্যাট চালিয়ে স্কোরকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে তুলেছিল ৩৯০ রান। ওপেনার জন ক্যাম্পবেল ও ব্যাটসম্যান শাই হোপের শতরান—যথাক্রমে ১১৫ ও ১০৩—ভারতের বোলারদের বেশ পরীক্ষা নিয়েছিল।
ঐতিহাসিক ঝলক
২০০২ সালের পর প্রথমবার ভারতের মাটিতে কোনও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনারের শতরান দেখা গেল, সেটি ক্যাম্পবেলের ব্যাটে। কিন্তু শেষ দিককার ওভারগুলোয় ভারতের বোলাররা নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। রবীন্দ্র জাডেজা, জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কুলদীপ যাদবের স্পিনে উইকেট পড়তে শুরু করে।
জয়ের কাছাকাছি
কুলদীপ যাদব শেষ দিকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে দলকে একেবারে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে আসেন। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রস্টন চেজ ৪০ রানে বিদায় নেওয়ায় তাদের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে যায়।
শেষ মুহূর্তের অপেক্ষা
এখন দিল্লির পিচে জয়ের জন্য ভারতকে তুলতে হবে আরও ৫৮ রান। প্রতিটি বলেই এগিয়ে আসছে সেই মুহূর্ত, যখন দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে ভারত এগিয়ে যাবে। এখন শেষ উইকেট হাতে রেখে ধৈর্য আর মনোবলই আজ ভারতের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
দিল্লির এই পিচে ফল মিলতে দেরি হবে না বলেই আশাবাদী সমর্থকরা। প্রশ্ন একটাই – ভারতীয় ব্যাটসম্যানেরা কি ধৈর্য ধরে এই ব্যবধান পেরোতে পারবেন? যদি তা হয়, তবে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বহু প্রতীক্ষিত টেস্ট সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে।