উত্তরবঙ্গে আবারও রাজনৈতিক তাপমাত্রা চড়েছে। কোচবিহারের (Coochbehar) তুফানগঞ্জে বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায়কে ঘিরে ঘটে গেল উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত, যার জেরে এলাকাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ তুফানগঞ্জ থানায় দুর্গাপুর গণধর্ষণ ঘটনার প্রতিবাদে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি ছিল বিজেপির। কিন্তু সেই কর্মসূচি ঘিরেই অচিরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায় যখন দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে স্থানীয় পার্টি অফিসে পৌঁছন, ঠিক সেই সময় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা সেখানে বিক্ষোভ শুরু করে দেন বলে অভিযোগ। “গো ব্যাক মালতী রাভা” স্লোগানে মুহূর্তে চারপাশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও দুই দলের মধ্যে হাতাহাতি বাধে বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, তাদের নেতা নিখিল ডাকুয়া সহ কয়েকজন কর্মীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এই অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়, প্রধান সড়কও কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ থাকে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ঘটনাটি উত্তরবঙ্গের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার আরেক দৃষ্টান্ত। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার— সর্বত্রই সম্প্রতি বিজেপি নেতাদের উপর হামলার অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগেই মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর আক্রমণের ঘটনা রাজ্যজুড়ে চর্চিত হয়েছিল। সেই হামলার জেরে দুজনই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তুফানগঞ্জের ঘটনায় ফের স্পষ্ট, উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক মাটিতে কার্যত এক অদৃশ্য সংঘর্ষ চলছেই, যেখানে প্রশাসন পরিস্থিতি সামলাতে পারলেও জনগণের উৎকণ্ঠা কাটছে না।