উত্তরবঙ্গের (North Bengal) জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকের গাঠিয়া নদীর উপর সেতু তৈরির কাজ ঘিরে ফের বড় বিপত্তি ঘটল। বামনডাঙা এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি পুনর্গঠনের কাজ চলছিল যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। কিন্তু রাতের অন্ধকারে আচমকাই ধসে পড়ে বালির বস্তায় তৈরি গার্ডওয়াল। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান সেখানে কাজ করা শ্রমিকেরা। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়, বন্ধ হয়ে যায় সেতু মেরামতির কাজ।
এই সেতুটি ভেঙে পড়ার পর থেকেই বামনডাঙা, টন্ডু এবং খেরকাটা এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। স্থানীয়দের দাবি, এই সেতুই ছিল একমাত্র সংযোগ পথ, যার মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি অসম ও নাগাল্যান্ডের দিকেও যানবাহন চলাচল সম্ভব হতো। ফলে তার পুনর্গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত বোল্ডারের মান ও আকার নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। অভিযোগ, ছোট আকারের পাথর ফেলা হচ্ছিল, যা কাঠামোগত দিক থেকে একেবারেই অনুপযুক্ত।
অবশ্য কাজের তদারকি করা সংস্থার ম্যানেজার শুভঙ্কর বোস বলেন, তিনি কেবল জরুরি মেরামতির দায়িত্বে ছিলেন, মূল নির্মাণের নকশা ও মান নির্ধারণের দায়িত্ব ইঞ্জিনিয়ারদের। অন্যদিকে, জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি সীমা চৌধুরী জানান, বোল্ডারের মান অত্যন্ত নিম্নমানের, যা সার্বিক নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তিনি ইতিমধ্যেই মেয়নাগুড়ির ইঞ্জিনিয়ার ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সেতুর ধস ও পরবর্তী মেরামতির বিপত্তিতে এখন আতঙ্কিত গ্রামবাসী। সরকারি সাহায্য ও ত্রাণেই আপাতত চলছে তাদের দিনযাপন, আর অপেক্ষায়—কবে নিরাপদভাবে নদীর উপর দিয়ে আবার চলাচল শুরু হবে।