দীপিকা পাড়ুকোনের (Deepika Padukone) সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। সদ্য মা হওয়ার পর অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন— আর অতিরিক্ত পরিশ্রম নয়, দিনে আট ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন না। ঠিক এই নীতিতেই তিনি সরে দাঁড়ান বড় দুই প্রযোজনা— ‘স্পিরিট’ ও ‘কাল্কি ২’-এর মতো ছবির থেকে। দীপিকার এই সাহসী পদক্ষেপকে নিয়েই এবার মুখ খুলেছেন পরিচালক হনসল মেহতা।
মেহতার ভাষায়, বলিউডের কাজের সংস্কৃতি এক অদৃশ্য ক্লান্তির ফাঁদ। সকালে শুটিং শুরু হলে রাত পার হয়ে যায় শেষ করতে, খাওয়া হয় তাড়াহুড়োয়, বিশ্রামের জায়গা নেই। তাঁর মতে, ‘১২ ঘণ্টার শিফট’ কথাটা যতটা সভ্য শোনায়, বাস্তবে তা মানসিক ও শারীরিক ক্ষয়েরই আরেক নাম। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন— এই চরম পরিশ্রমের দৌড়েই কি সত্যি শিল্পচর্চা বেঁচে থাকতে পারে?
পরিচালক আরও বলেন, এই পরিশ্রমের চাপে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহান সেটের সাধারণ কর্মীরা— যারা ভোরে আসে, রাতের শেষে বাড়ি ফেরে, অথচ কণ্ঠস্বর প্রায় নেই তাদের। টেলিভিশন থেকে শুরু করে OTT— সর্বত্র সেই একই ক্লান্তির চেনা ছবি। এমনকি বিদেশি প্রযোজনা সংস্থার প্রবেশেও কাজের সংস্কৃতিতে তেমন উন্নতি আসেনি। মেহতার মতে, কর্পোরেট স্বার্থের কাছে হার মেনে মানুষ দিন দিন মানসিকভাবে নিঃশেষ হচ্ছে।
অন্যদিকে দীপিকার নীরব প্রতিবাদ যেন এই চিত্রনাট্যকে আরেক মাত্রা দিয়েছে। নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, তাঁর লড়াই নীরব হলেও মর্যাদার সঙ্গে, কারণ বিশ্রাম অপরাধ নয়। এখন প্রশ্ন উঠেছে, বলিউড কি অবশেষে বুঝবে— ভালো কাজের সূত্রপাত শুরু হয় যথেষ্ট বিশ্রামের মধ্য দিয়েই?