আজকের সকালে বাংলার (Bengal) আকাশে চেনা রূপের কিছুটা বদল দেখা যাচ্ছে; চারপাশে ছড়ানো স্নিগ্ধ বাতাস যেন জানান দিচ্ছে নতুন কোনো অনুভূতির আগমন। রাতের বেলায় চাদর টেনে নেওয়ার সময়, অনেকে মনের মধ্যে প্রশ্ন তুলছেন—এত দ্রুত কি তবে শীত এসে পড়ল? আকাশের রং আর বাতাসের পরশে অস্পষ্ট সংকেত, যেন প্রকৃতি নিজেই জানান দিচ্ছে বড় কোনো পরিবর্তনের কথা।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস
এখন অনেকেই হয়তো ভাবছেন, বৃষ্টি কি সত্যি এবার গুটিগুটি পায়ে উলটো পথ ধরেছে? জানতে হলে সকালে অফিসে বেরোনোর আগে একবার খবরে চোখ রাখুন—আবহাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী আজও কিছু বিশেষ জেলার ওপর রয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । যদিও ভারী বর্ষণের ভয় আপাতত নেই, তবে সঙ্গে অবশ্যই ছাতা বা বর্ষাতিটা মনে করে রাখবেন কারণ বৃষ্টির ছোঁয়া এখনও পুরোপুরি ফুরিয়ে যায়নি .
দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি
আলিপুর থেকে পাওয়া সূত্র জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলা যেমন—কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম এলাকায় বজ্রবিদ্যুতের সঙ্গে মাঝারি বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে আজকের দিনে। তারই সাথে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। বিশেষত দুপুরের দিকে পরিবর্তন হবে এই আবহাওয়া।
উত্তরবঙ্গের খবর
এদিকে উত্তরবঙ্গের চিত্র একদম আলাদা। সকাল থেকে ঝলমলে পরিষ্কার আকাশ, কোথাও তেমনভাবে কোনো ভারী বৃষ্টির হুমকি নেই। তবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে আজ হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হতে পারে; সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি গতিতে দমকা হাওয়া।
আগামীকাল কেমন থাকবে?
শুক্রবারের জন্যও আবহাওয়া অফিস রেখেছে সতর্কতার বার্তা। দক্ষিণবঙ্গের ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলী, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি, সঙ্গে একই গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। অপরদিকে উত্তরবঙ্গের আট জেলাতেও থাকবে হালকা-বৃষ্টির সামান্য ইঙ্গিত। তবে ভারী বর্ষণের কথা নেই । সকালের কুয়াশা থেকে সন্ধ্যার ঠান্ডা—সব মিলিয়ে বাংলার আকাশে বদলের ছোঁয়া স্পষ্ট।
সর্বশেষে, বাংলায় অব্যাহত রয়েছে শীতের আগমন বার্তা। বৃষ্টির দৌরাত্ম্য কিছুটা কমলেও রাত বাড়লেই বাড়বে ঠান্ডার অনুভূতি—আকাশে পরিষ্কারতার মাঝে থাকছে আবহাওয়া অফিসের সতর্ক বার্তা। তাই দক্ষিণ বা উত্তর—পুরো বাংলা এখন অপেক্ষায়, কবে আসবে গোটা শীত, আর কোন সকাল থেকে ‘বৃষ্টি’ মুছে গিয়ে ‘হিম’ জড়িয়ে ধরবে বাংলার জনজীবন?