বছরের শেষ ভাগে এসে যখন ধীরে ধীরে শীতের আভাস মেলে ধরছে বাংলাজুড়ে, ঠিক তখনই ফের সক্রিয় হয়েছে মৌসুমি বৃষ্টি। ভোরের দিকে কিছুটা ঠান্ডা হাওয়া বইলেও, আকাশে ভেসে বেড়ানো মেঘ যেন জানিয়ে দিচ্ছে—বর্ষা এখনও পুরোদস্তুর বিদায় নেয়নি। রাজ্যজুড়ে এদিন ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া (Weather) দফতর।
ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বৃষ্টি
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের প্রতিবেদন অনুসারে, ঝাড়খণ্ডের ওপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছে। তারই প্রভাবে আজ, বুধবার, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দফতরের পূর্বাভাস বলছে, এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কোথাও কোথাও প্রবল দমকা হাওয়াও বইতে পারে। ঘণ্টায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে হাওয়া বইবে কিছু অঞ্চলে।
সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায়
দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, কলকাতা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর—এই নয়টি জেলায় আজ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। তবে বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা খুব একটা বাড়বে না বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে হাওয়া অফিস। ধীরে ধীরে ঠান্ডার আমেজ আরও ঘন হবে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া খানিক শান্ত
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে টানা কয়েকদিনের দুর্যোগের পর এখন অনেকটাই স্থিতিশীল আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে। দার্জিলিং, কালিম্পং ও কোচবিহারে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও মেঘের ফাঁক গলে রোদও দেখা যাবে আকাশে। ঘণ্টায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে দফতর।
আগামীকালের পূর্বাভাস
আগামীকাল, বৃহস্পতিবারও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলতে পারে। বিশেষ করে নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, এবং দুই মেদিনীপুরের এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি রেখেছে আলিপুর। অপরদিকে, উত্তরবঙ্গে বৃহস্পতিবার তেমন কোনও সতর্কতা জারি হয়নি, তবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের কিছু অংশে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি অসম্ভব নয়।
তাহলে কি এবার সত্যিই বর্ষা বিদায় নিতে চলেছে, নাকি শেষ লগ্নে আরও এক দফা চমক অপেক্ষা করছে রাজ্যের আকাশে? আপাতত সেটাই দেখার বিষয়।