হাওড়া থেকে খড়গপুরের ব্যস্ততম রেলের পথে চল্লিশ হাজারের বেশি যাত্রী নিত্যদিন ভ্রমণ করেন। কিন্তু চলতি দুর্গাপুজো মরশুমে সাধারণ মানুষের স্বস্তিতে বিঘ্ন পড়ার ইঙ্গিত মিলেছে। কারণ, হাওড়া-খড়গপুর রুটে একের পর এক লোকাল ট্রেন বাতিল (Train Cancell) হচ্ছে, পাশাপাশি এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচলেও বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে।
এই পরিস্থিতির পেছনে রয়েছে খড়গপুর ডিভিশনের কোলাঘাট স্টেশনে চলমান ইয়ার্ড আধুনিকীকরণ ও নন-ইন্টারলকিং প্রকল্পের কাজ, যা গত ২ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এই কাজের কারণে প্রায় ১২০টিরও বেশি লোকাল ট্রেন এবং ছয়টি এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল হয়েছে। এর পাশাপাশি অনেক এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচিতেও এক থেকে তিন ঘণ্টার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
প্রতিদিন বাতিল ট্রেনের সংখ্যা ৬ থেকে ১৪টির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। বিশেষ করে ৪ থেকে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে এই ধরণের বাতিল এবং সময় পরিবর্তনের তালিকা চালুর ফলে নিত্যযাত্রীরা বড় ধরনের অসুবিধায় পড়ছেন। খড়গপুর হাওড়া, মেদিনীপুর, পাঁশকুড়া হতে চলন্ত লোকাল ট্রেনের অনেকগুলো সেবা বন্ধ থাকায় মানুষের গন্তব্যে পৌঁছানো চ্যালেঞ্জের মুখে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আধুনিকীকরণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অস্থায়ী ব্যবস্থা চলবে এবং একইসঙ্গে যাত্রীদের অসুবিধার জন্য তারা দুঃখপ্রকাশ করেছে। তবে, পুজোর পর অবস্থা স্বাভাবিক না হলে এই এলাকার হাজার হাজার মানুষ এক বড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবেন। তাই যাত্রীদের সচেতন থাকার পাশাপাশি বিকল্প পরিকল্পনা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যাতে জরুরি প্রয়োজনে এক্সপ্রেস ট্রেন অথবা অন্য যাতায়াতের উপায় বেছে নেওয়া যায়।
সুতরাং, যাত্রীরা জরুরি না হলে এই সময়ে হাওড়া-খড়গপুর রুটে ট্রেনে ভ্রমণ এড়ানোই লাভজনক হবে। অন্যদিকে, যাদের ভ্রমণ বাধ্যতামূলক, তারা রেলের অফিসিয়াল তথ্য খতিয়ে দেখে। কারণ পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।