কুমার শানু (Kumar Sanu) ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকে ঘিরে এক নতুন আইনি টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুরের জাদুতে ভক্তের হৃদয় জয় করা এই শিল্পী এবার ব্যক্তিগত জীবনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিষয়টি ঘুরপাক খাচ্ছে সম্মান, সম্পর্ক ও ভবিষ্যতের প্রশ্নে।
অভিযোগের সূত্রপাত
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সামনে আসে প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্যের বিস্ফোরক দাবি। তিনি অভিযোগ করেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বামী ও তাঁর পরিবার ন্যূনতম চিকিৎসা বা খাবারের ব্যবস্থা পর্যন্ত করেননি। এমনকি সন্তানের জন্য প্রয়োজনীয় দুধও দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি। এখানেই শেষ নয়—রীতার বক্তব্য অনুযায়ী, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সন্তানদের খোঁজখবর থেকেও নাকি সরে দাঁড়িয়েছিলেন গায়ক।
বিবাহবিচ্ছেদ ও বিতর্ক
রীতা আরও দাবি করেন, বিয়ের সময়কালীন নানা ঘটনায় তিনি অন্যায়ভাবে বঞ্চিত হয়েছিলেন। বিচ্ছেদের সময়ও তিনি নগণ্য টাকাই পেয়েছিলেন, যার পর বাধ্য হয়ে গয়না বিক্রি করে দিন কাটাতে হয়েছিল। এই বক্তব্যের পর থেকেই সঙ্গীতমহলে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।
পাল্টা অবস্থান শানুর
তবে এই সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর বলে সরাসরি অস্বীকার করেছেন কুমার শানু। তাঁর পক্ষের আইনজীবী সানা রইস খান স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে যিনি সারা বিশ্বে সম্মান কুড়িয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য দুঃখজনক এবং আইনি দিক থেকে চ্যালেঞ্জযোগ্য। তাই রীতার বিরুদ্ধে মানহানির নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শানুর আইনজীবী আরও জানান, এই অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই । তাই কুমার শানু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—মামলার মাধ্যমেই এর জবাব দেওয়া হবে।
অতীত থেকে বর্তমান
প্রসঙ্গত,৮০’র দশকের গোড়ায় শুরু হয়েছিল তাঁদের সংসার, যা স্থায়ী হয়েছিল প্রায় দেড় দশক। ১৯৯৪ সালে সেই দাম্পত্যের ইতি টানেন শানু ও রীতা। বর্তমানে জনপ্রিয় এই গায়ক দ্বিতীয় স্ত্রী সলোনি ভট্টাচার্য ও দুই কন্যার সঙ্গে সংসার করছেন। কিন্তু প্রাক্তন স্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যে তিনি মনে করছেন, কেবল তাঁরই নয়, পরিবারের সম্মানকেও আঘাত করা হয়েছে। সেই কারণেই এ বার গায়ক আদালতের পথে হাঁটলেন।
অতীতের ছায়া আবার নতুন করে ঘিরে ধরায় কুমার শানু এবার স্পষ্ট করেছেন—অভিযোগ মেনে না নিয়ে তিনি আইনের পথেই লড়বেন। এই আইনি লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত কে কোথায় দাঁড়াবেন—সে দিকে এখন কৌতূহলী নজর গোটা বিনোদন দুনিয়ার।