পুরুলিয়া ও হুগলিতে নবমীর (Nabomi) দিন দুঘর্টনার ছায়া নেমে এল। দিনভর অন্তত দুই জায়গায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও গুরুতর আঘাতের ঘটনা ঘটে, যা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলছেন প্রশাসনের নজরদারির অভাব নিয়েই।
পুরুলিয়া: মদ্যপ চালকের বেপরোয়া আচরণ
নবমীর সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার রেডক্রস রোড যেন মুহূর্তে আতঙ্কের কেন্দ্রে পরিণত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, একটি চারচাকায় থাকা যাত্রীরা মাতাল অবস্থায় ছিলেন। তাঁদের গাড়ি প্রথমে দাঁড়িয়ে থাকা একটি স্কুটিকে ধাক্কা মারার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা ধাক্কা দেয় পাশের একটি বন্ধ ব্যাটারির দোকানে। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন দোকানের ভিতরে থাকা শ্রমিকরা। তবে গাড়ির ভেতরে থাকা তিনজন গুরুতর জখম হন। চালকের মুখে গভীর আঘাত লাগে বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের সহায়তায় টোটো মারফত আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পুলিশ ক্রেন ডেকে গাড়িটি উদ্ধার করে এবং গাড়ির মালিককে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে সদর থানা।
হুগলি: ব্রিজের উপর মর্মান্তিক সংঘর্ষ
একই দিন বিকেলে হুগলির মগরার নন্দীপুকুর এলাকায় নতুন ব্রিজের উপর ঘটে আরেকটি বিপর্যয়। স্কুটিতে চেপে ফেরার পথে তিন বন্ধু সরাসরি মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটর ভ্যানের সঙ্গে। প্রবল ধাক্কায় তিনজনই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। দ্রুত তাঁদের চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক স্কুটি আরোহী অভিষেক রামকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুই বন্ধু রাজকুমার বরাই ও আমির আনসারি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনজনেরই বাড়ি বড় খেঁজুরিয়া মল্লিকপাড়ায় এবং তাঁরা একই জায়গায় কাজে যুক্ত ছিলেন।
দু’টি দুর্ঘটনার পর স্থানীয় মানুষ প্রশাসনিক উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের দাবি, নজরদারি ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে গাফিলতি চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।