করুরের মর্মান্তিক ঘটনার পর অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন দক্ষিণী সুপারস্টার থেকে রাজনৈতিক নেতা হওয়া বিজয়। দীর্ঘ নীরব থাকার পর এক ভিডিও বার্তায় তিনি দলীয় অবস্থান জানালেন। তবে তাঁর বক্তব্য ঘিরেই নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
বিজয়ের অবস্থান
ভিডিও বার্তায় বিজয় দাবি করেন, ওই সভায় কারও জীবনের নিরাপত্তা অবহেলা করা হয়নি। তাঁর কথায়, পুলিশের অনুমতি নিয়েই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল এবং সব নিয়মকানুন মেনেই কার্যক্রম চলে। তবু করুণ দুর্ঘটনা ঘটে, যা তাঁকে গভীরভাবে আঘাত করেছে। বিজয় জানান, তিনি ঘটনাস্থলে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ভিড় আরও বেড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে ভেবে আর যাননি।
অভিযোগে তোপ
ঘটনার পর বিজয়ের দলের এক নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের হয়। ঠিক এই নিয়েই সরব হন বিজয়। তিনি বলেন, যদি এ ঘটনায় প্রতিশোধমূলক মনোভাব থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তবে সেটা তাঁর দিকেই আসা উচিত, কর্মীদের নয়। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি— “আমি বাড়িতে বা অফিসে আছি, যা করার আমার সঙ্গে করুন।”
তদন্তের দাবি ও পাল্টা অভিযোগ
টিভিকে–র তরফে এই দুর্ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। একই সুর তুলেছেন প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাইও। বিজেপি নেতৃত্ব সাফ অভিযোগ করেছে, ডিএমকে প্রশাসনের গাফিলতিই এই বিপর্যয়ের প্রধান কারণ।
সরকারের প্রতিক্রিয়া
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন বিরোধীদের অভিযোগে সাড়া দিতে অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, আপাতত সরকারের সমস্ত নজর তদন্ত কমিটির রিপোর্টের দিকে। সেটিই হবে পরবর্তী সিদ্ধান্তের ভিত্তি।
পটভূমি
প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর করুরে বিজয়ের দল টিভিকে–র সভায় পদপিষ্ট হয়ে ৪১ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর থেকেই নীরব ছিলেন অভিনেতা-নেতা। অবশেষে তাঁর প্রতিক্রিয়া জুড়ে দায়-অস্বীকার যেমন আছে, তেমনি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পাল্টা বার্তাও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।