আজ মহাষ্টমীর (Mahaashtami) সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন মণ্ডপে পুজোর ভিড় উপচে পড়েছে। অঞ্জলির ঘন্টাধ্বনি আর ঢাকের তালে মানুষ ডুবে রয়েছে মাতৃ আরাধনায়। কিন্তু সেই আনন্দের মাঝেই চোখ বারবার উঠছে আকাশের দিকে। সেপ্টেম্বরের শেষ প্রহরে এহেন মেঘের আনাগোনা কি বৃষ্টির বার্তা? ফলে এখন পুজোর আমেজে আবহাওয়াই হয়ে উঠেছে প্রধান আলোচনার বিষয়।
দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি
আলিপুর হাওয়া দফতরের পরামর্শ অনুযায়ী, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি নামায় পারে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে দুই বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগণা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং নদীয়ায়। উৎসবের আনন্দে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় জমলেও, হঠাৎ বৃষ্টি অনেকখানি বিঘ্ন ঘটাতে পারে বলেই ধারণা আবহবিদদের।
উত্তরবঙ্গের দিকেও সতর্কবার্তা
শুধু দক্ষিণ নয়, উত্তরবঙ্গের আকাশও স্থির নেই। জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, মালদা, দুই দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হঠাৎ বৃষ্টি নামতে পারে যেকোনও সময়ে। তার সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে পূর্বাভাস জারি হয়েছে।
অক্টোবরের প্রথম দিনের পূর্বাভাস
আগামীকাল, বুধবার, অক্টোবর মাসের প্রথম দিনেই দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। কলকাতা থেকে হাওড়া, হুগলী, দুই ২৪ পরগণা, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া—কোথাও এ যাত্রা বাদ পড়ছে না। একইসঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার—উত্তরবঙ্গের জেলা গুলোতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা সমানভাবে থেকে যাচ্ছে।
২ অক্টোবরের বড় সতর্কবার্তা
তবে আবহাওয়াবিদরা সবচেয়ে সতর্ক করছেন ২ অক্টোবর নিয়ে। সেদিন উত্তর আন্দামান সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় নেমে আসতে পারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগণা, হুগলী, পূর্ব মেদিনীপুরে প্রভাব বেশি পড়তে পারে। কলকাতা, হাওড়া, নদীয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমেও প্রবল বর্ষণ বাদ যাচ্ছে না।
উৎসবের সঙ্গে সতর্কতা
অতএব স্পষ্ট, এবারের মহাষ্টমীর আকাশও নিশ্চিন্ত নয়। মহাষষ্ঠী থেকে মহাসপ্তমীর মতোই আজও আবহাওয়া দিচ্ছে ধন্দের বার্তা। আর সামনের দিনে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। উৎসবের উল্লাস যেমন চলবে, তেমনি ছাতা কিংবা রেনকোর্ট বৃষ্টি সামলানোর প্রস্তুতি রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।