পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) আকাশে ফের উদ্বেগের সঙ্কেত। চার দিনের উৎসবের মাঝেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টিতে ব্যাহত হয়েছে জনজীবন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়—আবহাওয়ার অস্থিরতা আরও কয়েকদিন চলতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
বঙ্গোপসাগরে নতুন নিম্নচাপ
আলিপুর আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, আজ শুক্রবার বঙ্গোপসাগরের উত্তর ও সংলগ্ন এলাকায় নতুন নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘলা থাকবে এবং বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। মৎস্যজীবীদের এসময় সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের সম্ভাব্য পরিস্থিতি
শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের ১৫টিরও বেশি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, দুই ২৪ পরগণা, মুর্শিদাবাদ ও দুই বর্ধমান—এই এলাকাগুলো বিশেষভাবে ঝড়বৃষ্টিতে প্রভাবিত হতে পারে। অনেক জায়গায় ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। সাথে আকাশ ঘন মেঘে ঢেকে থাকবে, এবং কিছু এলাকায় জল জমে সাময়িক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
উত্তরবঙ্গেও অশনি সঙ্কেত
এদিন উত্তরবঙ্গেও দুর্যোগ এড়ানো যাচ্ছে না। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর ও মালদার মতো জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ এবং মাঝারি বৃষ্টিপাতের জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কিছু জেলায় পরিস্থিতি জটিল আকার নিতে পারে বলে প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে।
শনিবারের পূর্বাভাস
আগামীকাল শনিবারও বৃষ্টিতে ভিজবে রাজ্য। দক্ষিণবঙ্গের ঝাড়গ্রাম ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। ঘণ্টায় ৪০–৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। একইসঙ্গে পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুরে দুর্যোগের আশঙ্কা বাড়ছে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে।
সামগ্রিক প্রভাব
বিশেষজ্ঞদের মতে, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের কারণে সামগ্রিক আর্দ্রতা বাড়বে এবং কোথাও কোথাও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা নামতে পারে। তবে একই সঙ্গে বজ্রঝড়, ভারী বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার সমস্যায় বহু এলাকার মানুষকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হতে পারে। তাই পুজোর আনন্দের মধ্যেই রাজ্যের বহু জায়গায় উৎসবকে ভোগাবে প্রকৃতির অনিশ্চিত খেয়াল।