কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীময়ী (Sreemoyi) ও তাঁর স্বামী অভিনেতা কাঞ্চন সম্প্রতি ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। যাঁকে তাঁরা বিশ্বাস করে ঘরে রেখেছিলেন, সেই পরিচারিকাই তাঁদের পরিবারের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ালেন। শুধু ছোট্ট শিশুকেই নির্যাতন করেননি,পরিবারের দামি জিনিসপত্র গায়েব হয়ে যাওয়ার নেপথ্যেও ধরা পড়ল তাঁর নাম।
ছোট্ট কৃষভির উপর অমানবিকতা
পারিবারিক ও পেশাগত ব্যস্ততার কারণে মাঝে মাঝে শ্রীময়ী চট্টরাজ ও কাঞ্চন মল্লিক মেয়েকে পরিচারিকার কাছে রেখে যেতে বাধ্য হতেন। নাতনির যত্ন নিতে শ্রীময়ীর মা যতটা সম্ভব পাশে থেকেছেন ঠিকই, কিন্তু একা হাতে সব সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। তাই শেষমেশ পরিচারিকার উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজই প্রমাণ করে, সেই সিদ্ধান্ত ছিল ভয়ঙ্কর ভুল।
বাড়িতে সিসিটিভি থাকার ফলে একদিন রাতে সেই ফুটেজ দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান অভিনেত্রী। ক্যামেরায় ধরা পড়ে, ছোট্ট কৃষভি কাঁদলেই পরিচারিকা তার গায়ে হাত তুলত। বিষয়টি জানাজানি হতেই পরিবার চরম মানসিক চাপে পড়ে যায়।
চুরির অভিযোগে নতুন মোড়
শিশু নির্যাতনেই ঘটনাটি থেমে থাকেনি। কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারেন, বাড়ি থেকে রুপো-তামার, কাঁসার বাসনপত্র ও প্রদীপ মিলিয়ে দামি সামগ্রী নিখোঁজ হতে শুরু করে। প্রথমে কিছু বোঝা না গেলেও পরের দিকে শ্রীময়ী আঁচ করতে পারেন কি ঘটছে। সামান্য খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, সুযোগ বুঝে পরিচারিকা ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়ে চুরি করে সেই জিনিসপত্র বাইরে পাচার করতেন।
পরিবারের আতঙ্ক
এই ঘটনার পর শ্রীময়ী-কাঞ্চনের মধ্যে গভীর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এতদিন যাঁকে বিশ্বাস করে পরিবারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব দিয়েছিলেন, সেই পরিচারিকার এমন কাজ তাঁদের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। বিশেষত, সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে এখন তাঁরা চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
আইনি পদক্ষেপের ইঙ্গিত
ঘটনার পর কাঞ্চন মল্লিক স্পষ্ট জানিয়েছেন, এমন অপরাধের বিরুদ্ধে কড়া আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। অন্যদিকে শ্রীময়ীর কথায়, একজন অভিভাবক হিসেবে সন্তানের সুরক্ষাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।