দুদিনের ছুটি মানেই বেড়ানো (Travel) ও আনন্দ। কিন্তু বাস্তবে ট্রেন বা ফ্লাইটের টিকিট পাওয়া দুষ্কর, সেইসঙ্গে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে হোটেল ভাড়া নিয়েও চলে টানাটানি। বিশেষত উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও জঙ্গলের পরিস্থিতি এখন অনিশ্চিত। ফলে অনেকেই এবার নতুন করে ভাবছেন দক্ষিণবঙ্গের একদিন বা দু’দিনের ভ্রমণ। তাই নিজের গাড়ি নিয়েই সহজে পৌঁছে যাওয়া যায় এমন কিছু জায়গাই এবার হয়ে উঠতে পারে আপনার ছুটির সঙ্গী। চলুন দেখে নেওয়া যাক
দুয়ারসিনি
পুরুলিয়ার পাহাড় ও জঙ্গলের টানে যদি ছুটে যেতে চান, তবে ভিড় এড়িয়ে বেছে নিতে পারেন দুয়ারসিনি। শালপিয়ালের অরণ্য, ছোট নদীর কলকল শব্দ আর আদিবাসী গ্রামের পরিবেশ এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়। একটি রাত কাটালে এখানকার সৌন্দর্য আরও বেশি উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
নাচন
পশ্চিম বর্ধমানের ছোট্ট গ্রাম নাচন শুধু ড্যামের জন্যই পরিচিত নয়, আশপাশের বাঁধানো বনের সৌন্দর্য আর অজয় নদীর ধারা মিলিয়ে তৈরি করেছে অনাবিল পরিবেশ। শীত আসার আগেই এই এলাকায় ভিড় জমায় পরিযায়ী পাখিরা। কলকাতা থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত চার ঘন্টার রাস্তা, সেখান থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্বে নাচনের অবস্থান।
গড়পঞ্চকোট
পুরুলিয়ার ইতিহাস ও প্রকৃতির অদ্ভুত মেলবন্ধন ঘটেছে গড়পঞ্চকোটে। ধ্বংসাবশেষ, প্রাচীন মন্দির আর পাহাড়ঘেরা পরিবেশ একসঙ্গে মিলিয়ে এখানে পাওয়া যায় অন্যরকম আনন্দ। কাছেই রয়েছে বড়ন্তি হ্রদ ও জয়চণ্ডি পাহাড়।
আগরহাটি
যাঁরা সুন্দরবনের মতো পরিবেশ চাইছেন, অথচ দীর্ঘ সফরের ঝামেলা এড়াতে চান—তাঁদের জন্য আদর্শ জায়গা আগরহাটি। ক্যানিং থেকে কাছেই এই গন্তব্য। মাছধরা, নদীর ধারে সময় কাটানো কিংবা রিসর্টের জলাশয়ের পাশে অবসর মুহূর্ত—সব মিলিয়ে এ জায়গা আপনার ছুটির দিনটাকে জমিয়ে উঠতে পারে।
বুরাঘুটু
মুকুটমণিপুরের ভিড় এড়িয়ে শান্ত সঙ্গী হতে পারে বাঁকুড়ার বুরাঘুটু। কংসাবতী নদীর তীরে ছোট্ট আদিবাসী গ্রাম। ভোরবেলা গ্রামের ভিতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যাওয়া যায় বিখ্যাত জলাধারের ধারে।
সব শেষ বলা যেতেই পারে, টিকিটের ধাক্কা না খেয়েও গাড়ি নিয়ে দক্ষিণবঙ্গের এই জায়গাগুলোতে ঘুরতে পারলেই আপনার ছুটি কাটবে শান্তিতে।