ব্যস্ততার জীবনে সপ্তাহান্ত (Weekend) মানেই একটু অবসর, আর সেই অবসরে যদি সাগরের ঢেউয়ের শব্দ শুনতে শুনতে আনন্দে মেতে ওঠা যায় তবে তার থেকে ভালো আর কী-ই বা হতে পারে! তবে সবাই যে গোয়া ছুটে যাবেন, তা নয়। অনেকেরই আবার সময় ও বাজেটের সীমাবদ্ধতা আছে। তাই সমুদ্রপ্রেমীদের জন্য রয়েছে এক দুর্দান্ত বিকল্প – কলকাতা থেকে অল্প দূরেই বকখালির পাশের লক্ষ্মীপুর সমুদ্র সৈকত, যেটিকে অনেকেই ডাকেন ‘মিনি গোয়া’ বলে।
কেন লক্ষ্মীপুর?
সাধারণ ভিড়ভাট্টা এবং কোলাহল থেকে দূরে, একেবারেই শান্ত পরিবেশের মধ্যে রয়েছে এই সৈকত। এখানে পৌঁছেই বোঝা যায় কেন একে গোয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়। বিস্তীর্ণ সাগর, লম্বা ফাঁকা প্রান্তর আর খোলামেলা আবহাওয়া – সবকিছু মিলিয়ে এই জায়গাটি দ্রুত শান্তি প্রিয় মানুষদের কাছে হয়ে উঠছে ছুটির দিনের অন্যতম গন্তব্য হিসেবে। দুই দিনের ছোট সফরের জন্য এই জায়গাটি একেবারেই আদর্শ।
কীভাবে পৌঁছবেন?
কলকাতা থেকে এখনকার দূরত্ব প্রায় ১৩৬ কিলোমিটার। ট্রেনে শিয়ালদহ থেকে নামখানা লোকাল ধরে নামখানা স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে সহজেই পাওয়া যাবে বাস বা শেয়ার টোটো/গাড়ি। চাইলে পায়েও হাঁটা যায়, অনেকটা সময়ে চলে যাবে প্রায় অর্ধ ঘণ্টা। তবে কলকাতা থেকে গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে যেতে পারেন, তবে পৌঁছতে সময় লেগে যাবে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা।
খরচের কথা
এই সফরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল খরচ একেবারেই সাশ্রয়ী। থাকা-খাওয়া মিলিয়ে মাথাপিছু প্রায় ১২০০ টাকা খরচেই জমে উঠবে দুই দিনের মিনি ছুটি। ফলে স্বল্প বাজেটের মধ্যেই সমুদ্র ভ্রমণের স্বাদ উপভোগ করা যায় এখানে।
একঘেয়েমি ভেঙে নতুন কিছু খুঁজছেন? তবে তাজপুর, মন্দারমনি বা দীঘার পাশাপাশি তালিকায় রাখতেই পারেন লক্ষ্মীপুর সমুদ্র সৈকতের নাম। ঝকঝকে বালিভূমি, শান্ত পরিবেশ আর স্বল্প খরচ – সব মিলিয়ে এটি এখন পর্যটকদের কাছে নতুন প্রিয় গন্তব্য। তাই আর দেরি না করে সপ্তাহান্তে বেরিয়ে পড়ুন ‘মিনি গোয়া’র পথে।