বিয়ের বাড়ি মানেই আনন্দ, সাজসজ্জা আর উৎসবের রঙ। কিন্তু স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক চিরসখা-র আসর যেন হঠাৎই আনন্দ থেকে টেনে নিয়ে গেল হাহাকারের অন্ধকারে। মৌয়ের গায়ে হলুদের মাঝেই ঘটে গেল এমন এক ঘটনা, যা দর্শকদের শিরদাঁড়া দিয়ে ঠাণ্ডা স্রোত বইয়ে দিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত প্লুটোকে ঘিরেই। বিয়ের মণ্ডপ প্রস্তুত, সমস্ত বাড়ি ভর্তি অতিথি আর আত্মীয়। ঠিক তখনই প্লুটো স্পষ্ট জানায়—তার মনের মানুষ এখনো মিঠি! যে তার প্রাক্তন প্রেমিকা, আর একইসঙ্গে মৌয়ের দিদি। প্লুটোর এত বড় স্বীকারোক্তি সারা বাড়ির সদস্যের মধ্যে ছড়িয়ে দেয় আলোড়ন। পরিবার থেকে শুরু করে মিঠি নিজেও চরম অস্বস্তির মুখে পড়ে।
কথায় আছে, ভালোবাসা লুকিয়ে রাখা যায় না। প্লুটোও আর নিজেকে আটকে রাখতে পারল না। হঠাৎ করেই জানিয়ে দিল, আজও তার হৃদয়ে একমাত্র আছে মিঠি। এ স্বীকারোক্তি মিঠির কাছে পুরোনো প্রেম, ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার চেয়েও ছিল অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। কারণ নিজের বোনের বিয়ের মঞ্চে প্রাক্তন প্রেমিকের এই ঘোষণা তাকে অপমান করা ছাড়া আর কিছুই না।
দৃশ্যটা এখানেই থেমে থাকলে হয়তো সেটা নিয়ে চাপা গুঞ্জনেই সীমাবদ্ধ থাকত।কিন্তু পরের ঘটনাই কাহিনি ঘুরিয়ে দিল সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে। সামাজিক বাধ্যবাধকতা, পরিবারের অসীম চাপের মধ্যে ক্লান্ত প্লুটো নিজের ঘরে একলা বসে ভয়ঙ্কর এক সিদ্ধান্তে পৌঁছে যায়।চিঠি লিখে সে জানিয়ে দেয়, এই বিয়েতে তার কোনো ইচ্ছা নেই, সে শুধুই মিঠিকেই ভালোবাসে। মিঠির প্রতি তার টান আজও তীব্র, মৌকে স্ত্রী হিসেবে ভাবার মতো মন তার নেই।
এরপরই সে ভয়াবহ পদক্ষেপ নেয়—অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে! বাইরে তখন হৈচৈ, আলো ঝলমল, আত্মীয়-স্বজনের ভিড়। মৌ অধীর হয়ে প্লুটোকে খুঁজছে, ফোন করছে বারবার। কেউ জানেই না, ঘরের ভিতরে নিঃশব্দে এক তরুণ নিজের জীবন থেকে সমস্ত আশা হারিয়ে ফেলছে।
এখন প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে—প্লুটো কি শেষ পর্যন্ত বাঁচবে? নাকি মিঠির প্রতি অসম্পূর্ণ প্রেম নিয়েই সব শেষ হয়ে যাবে? দর্শকেরা এখন একটাই জবাব খুঁজছেন—চিরসখা-র এই রহস্যময় অধ্যায়ে কার জয় হবে? ভালোবাসা, নাকি সামাজিক চাপের?