কলকাতার বাজারে সোনার ও রুপোর দামের (Gold and silver prices) গতিবিধি নিয়ে আজকের পরিস্থিতি কিছুটা দেখে নেওয়া যাক। উৎসবের মরসুমে সোনা এবং রুপোর দাম সর্বদা ওঠানামা মানুষের মনোভাবকে প্রভাবিত করে থাকে। আজকের বাজার কিছুটা স্থিতিশীলতা থাকলেও ভবিষ্যৎ দামের জন্য বাজারের চাহিদা এবং বৈশ্বিক প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
১৫ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে কলকাতার সোনার বাজারে বড় কোনো পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। ২২ ক্যারেট হলমার্ক সোনা প্রতি গ্রামের দাম ধরা হয়েছে ৯৫৬৫ টাকা, যা গত দিনের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। এর ফলে ১০ গ্রামের গহনার দাম দাঁড়িয়েছে ৯৫,৬৫০ টাকায়। অন্যদিকে, শুদ্ধতার দিক থেকে বেশি নিখুঁত ২৪ ক্যারেট সোনার দামও স্থির থেকেছে, এখানে খুচরো সোনার প্রতি গ্রামের দাম ১০০৬০ টাকা এবং ১০ গ্রামের দাম ১,০০,৬০০ টাকায় রয়েছে। সোনার এই স্থিতিশীল অবস্থা অনেক ক্রেতার মনে সোনার বিনিয়োগের প্রতি বিশ্বাস ফেরাতে সক্ষম হয়েছে।
এবার আসা যাক রুপোর দিকে। বর্তমানে রুপোর বাজারে সামান্য পরিবর্তন এসেছে। ১৫ আগস্টের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি বাট রুপোর দাম ১,১৫,৪৫০ টাকা, যা গত দিনের তুলনায় সামান্য কমে ০.০৪ ভাগ হয়েছে। তবে খুচরো রুপোর প্রতি কেজির দামের ক্ষেত্রেও একই হ্রাস পরিলক্ষিত হয়েছে, যেখানে দাম দাঁড়িয়েছে ১১৫,৫৫০ টাকা এবং ১০০ গ্রাম রুপোর দাম ১১,৫৫৫ টাকা। যদিও ছোট মাত্রার এই পতন বাজারকে তেমন কোনো স্বস্তি দিতে পারেনি, তবুও চাহিদার তুলনায় সরবরাহের ভারসাম্য বজায় থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্ব বাণিজ্যের ওঠানামা, ডলারের বিনিময় হার এবং দেশীয় উৎসব মরসুমের প্রভাব সোনার এবং রুপোর দামে উপর প্রতিফলিত হয় প্রায়ই। বিয়ের মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে, ক্রেতারা সোনায় ঝোঁক বাড়ান, যার ফলে শুরু হয়ে দামের ওঠানামা। তবে বর্তমানে এই বাজারে পুরোপুরি স্থিতিশীলতা না থাকলেও বেচাকেনায় ভারসাম্য রক্ষা দেখা যাচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য আশাও দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,আগামী কয়েকদিন বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদার দিক থেকে সোনা ও রুপোর দাম সামান্য অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যেতে পারে। তাই ক্রেতাদের উচিত সজাগ থাকা। ক্রেতাদের ও বিনিয়োগকারীদের উচিত বাজারের টানাপোড়েন সঠিকভাবে বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া, যেন সোনার মতো অমূল্য সম্পদে বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদী লাভজনক হয়।
সুতরাং, কলকাতার সোনার বাজারে আজ নতুন কোনো উত্থান-পতন না থাকলেও রুপোর মুল্যে সামান্য প্রবণতা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। বাজারের এই হালকা ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দেয় যাতে তারা তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা সতর্কতার সাথে করতে পারেন।