পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (West Bengal Govt) কুড়িটিরও বেশি সামাজিক প্রকল্প রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প বলে মনে করা হয় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে (Swasthya Sathi Scheme)। এটি একটি স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প (Swasthya Sathi Health Insurance)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের সূচনা করেন।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পটি (Swasthya Sathi) রাজ্যের ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে সুবিধা প্রদান করে কাছে। কিন্তু এবারে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসার তালিকা থেকে এবার বাদ পড়ল অর্থোপেডিক অস্ত্রোপচার। দুর্ঘটনাজনিত অস্ত্রোপ্রচার ছাড়া পূর্বপরিকল্পিত অস্ত্রপ্রচারের ক্ষেত্রে এই কার্ডের ব্যবহার করা যাবেনা।
গত সপ্তাহে কলকাতায় স্বাস্থ্যসাথী পর্ষদের বার্ষিক বৈঠকে যাবতীয় রিপোর্ট, ফলাফল নিয়ে আলাপ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যজুড়ে অর্থোপেডিক অস্ত্রোপচার নিয়ে বিপুল অনিয়ম চলছে। মাসখানেক আগে স্বাস্থ্যসাথীর পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, অর্থপেডিকের পরিকল্পিত অস্ত্রোপচার সরকারি হাসপাতালেই করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ফ্রীতে পাওয়া যাবে রান্নার গ্যাস, পুজোর আগেই বাম্পার ঘোষণা করল সরকার
একমাত্র সরকারি হাসপাতাল যদি কোনও বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করে থাকে তবেই সেই অস্ত্রোপচার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হবে। কিন্তু তারপর দেখা গেছে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর এলাকায় সরকারি হাসপাতাল থেকে অর্থপেডিক রোগীদের বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে রেফারের ঘটনা বেশ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।
এরপরই নড়েচড়ে বসেন সরকার এবং ঘোষণা করেন মুর্শিদাবাদের বহরমপুর পুর এলাকায় আপাতত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে কোনও পরিকল্পিত অস্ত্রোপচার করা যাবে না। একমাত্র দুর্ঘটনা জনিত জরুরি ভিত্তিতে কোনও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে আলাদা কথা। সূত্রের খবর আপাতত শুধু বহরমপুর পুর এলাকার জন্য এই নিয়ম চালু করা হলেও তা খুব দ্রুত গোটা রাজ্যেই তা লাগু করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এর আগে দাঁতের চিকিৎসা, হাইড্রোসিল থেকে হার্নিয়ার মত অসুস্থতার জন্য অপারেশন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের দ্বারা সরকারি হাসপাতালে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ এই ধরণের রোগের ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পাওয়া যাবে না। এবার সেই তালিকাতেই যুক্ত হয়ে গেল অর্থোপেডিক সংক্রান্ত অসুস্থতাও।