আমাদের দেশ ভারতবর্ষে প্রচুর সংখ্যক মন্দির রয়েছে। প্রতিবছর কোটি কোটি মানুষেরা তীর্থে যান এই সমস্ত মন্দির দর্শকনের জন্য। মন্দিরে ভক্তিভরে পুজোর পাশাপাশি দান করে থাকেন ভক্তরা। জানলে অবাক হবেন, প্রতিবছর এই মন্দিরেই কোটি কোটি টাকার দান জমা পরে। আর এই দানের টাকাদিয়েই কয়েক শো কিংবা কয়েক হাজার কোটির সম্পত্তি রয়েছে বেশ কিছু মন্দিরের। আজ আপনাদের এমনই ভারতের ৫ সবচেয়ে ধনী মন্দিরের (India’s Richest Temple) সম্পর্কে জানাবো।
শ্রী পদ্মাভস্বামী মন্দির : কেরালা রাজ্যের তিরুবনন্তপুরমে অবস্থিত শ্রী পদ্ভনাভ স্বামী মন্দির একবার দেখার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুতে আসেন। এই মন্দিরের ভূগর্ভে গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। যেখান থেকে প্রায় কয়েক হাজার কোটির মূল্যবান হিরে ও রত্ন পাওয়া যায়। জানা যায় এই মন্দিরের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১,০০,০০০ কোটি টাকা।
তিরুপতি মন্দির : অন্ধ্রপ্রদেশের এই মন্দিরে বিশ্বাস করতেন বালাজি। যেমনটা জানা যায় মন্দিরে বিষ্ণুর পূজা হয়। ভগবান শ্রী শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর তাঁর স্ত্রী পদ্মাবতীর সাথে এই মন্দিরে থাকেন। আম্বানি পরিবারের অনেকেই এখানে মোটা অঙ্কের টাকা দান করেছেন। জানা যায় মন্দিরের আনুমানিক সম্পত্তি প্রায় ২,৫০,০০০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুনঃ প্রায় ফ্রীতে পাওয়া যাবে রান্নার গ্যাস, পুজোর আগেই বাম্পার ঘোষণা করল সরকার
শিরডি সাঁই বাবা মন্দির : ভারতবর্ষের তৃতীয় সর্বোচ্চ ধনী মন্দির হল সাঁই বাবার এই মন্দির। যেখানে প্রতিবছর প্রায় ১০০০ কোটি টাকা যায় হয়। মন্দিরের নামে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যাঙ্কে জমা রয়েছে। মন্দিরের সম্পত্তিয়ের মধ্যে ১,৮০০ কোটি টাকা ছাড়াও ৩৮০ কেজি সোনা রয়েছে।
সিদ্ধিভিনায়াক মন্দির : সম্প্রতি গোটা দেশ জুড়ে পালিত হয়েছে গনেশ চতুর্থী। আর দেশের সবচেয়ে ধনী মন্দিরের মধ্যে অন্যতম হল ভগবান গণেশের সিদ্ধিভিনায়াক মন্দির। মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়াল প্রায় ৩.৭ কেজি সোনা দিয়ে মোড়া। এছাড়াও প্রতিবছর মন্দিরের যায় প্রায় ২০০ কোটির কাছাকাছি।
বৈষ্ণো দেবী মন্দির : কয়েক শতাব্দী প্রাচীন জম্মুর বৈষ্ণো দেবী মন্দির। এটি সমুদ্রতল থেকে ৫,২০০ ফুট উচিত এক গুহার ভিতরে অবস্থিত। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীরা মায়ের দর্শকনকরতে যান। প্রতিবছর মন্দিরের আনুমানিক যায় ৫০০ কোটির ওপর। এছাড়াও মন্দিরের কাছে প্রায় ১.২ টন অর্থাৎ ১২০০ কেজি সোনা রয়েছে।