সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ( Central Govt Employee ) সরকারি কর্মচারীদের জন্য এক জরুরি ঘোষণা করলেন। সরকারের তরফ থেকে জানানো হলো পিএফ, গ্র্যাচুইটি এবং পেনশনের সুবিধা একসাথে পাবেন না কিছু বিভাগের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। এদিকেই সামনেই গোটা দেশ জুড়ে উৎসবের মরশুম। এহেন অবস্থায় লক্ষ লক্ষ কর্মচারীর মাথায় হাত!
কেন্দ্রের অধীনে কর্মরত বেতনভোগী কর্মচারীদের বেতনের পাশ[পাশি আরও নানারকমের ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। অন্যান্য কর্মচারীদের থেকে তারা একটু বেশিই সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে সম্প্রতি সরকারের তরফ থেকে এই সংশোধনী বিধি ১৩ অধীনে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
বিধিতে জানানো যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের বেশ কিছু কর্মচারীরা (Govt Employee) আর পেনশন (Pension) এবং পি এফ (PF), একই সময়ে এই দুটি পরিষেবা পেতে পারে না। কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা নির্দেশ অনুসারে, আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনাল এবং গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স ট্রাইব্যুনালের সদস্যদের গ্র্যাচুইটি, পেনশন এবং পিএফ এর সুবিধা দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুনঃ সরকারি চাকরি ছাড়াই মিলবে পেনশন, জেনে নিন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত
ট্রাইব্যুনালের সদস্যপদ পূর্ণ সময়ের নিযুক্ত বিভাগে রাখা হবে, অর্থাৎ তাদের স্বেচ্ছায় একটা পরিষেবা থেকে পদত্যাগ করতে হবে। এখন যদি কোনো আদালতের একজন কর্মরত বিচারককে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বা সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে ট্রাইব্যুনালে যোগদানের আগে তাকে হয় পদত্যাগ করতে হবে বা অবসর নিতে হবে।
এই সব কর্মীরা (Govt Employees) একই সময়ে উভয়ের সুবিধা নিতে পারে না। এই নিয়ম দেশের সকল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য নয়। বস্তুত, এই বিধির মারফত আইনজীবীদের লাভ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগে হাইকরতে বা সুপ্রিমকোর্টে কর্মরত থাকলে বিচারপতিরা মাঝেমধ্যে চেয়ারম্যান কিংবা সদস্য হিসাবে নিয়োগ পেতেন। তাই পেনশনের সুবিধা পেতেন। কিন্তু এবার বিচারককে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বা সদস্যপদ দেওয়া হলে পদত্যাগ করতে করতে হবে নতুবা রিটায়ারমেন্ট নিতে হবে। এক্ষেত্রে যেকোনো একটি সুবিধা নেওয়া যাবে কিন্তু দুটিই নেওয়া যাবে না।