আজ থেকে রাজ্যেজুড়ে ফের শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar)। এখনও পর্যন্ত ৭টি পর্যায়ে রাজ্যজুড়ে ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার শিবির করা হয়েছে। যেখান থেকে ৮ কোটি ১০ লক্ষ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে বাংলার সরকার (Government of West Bengal)। দুয়ারে সরকার প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন https://ds.wb.gov.in/ লিংকে।
অষ্টম Duare Sarkar প্রকল্প :
অষ্টম দফার দুয়ারে সরকারে (Duare Sarkar) রাজ্যজুড়ে কয়েক লক্ষ শিবির তৈরি করা হয়েছে। তাতে বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদি। এবারের দুয়ারে সরকারে এই প্রথম শস্য চাষের সহযোগিতার জন্য আবেদন জানানো যাচ্ছে। এই বিষয়ে আবেদন নেওয়া হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং পরিষেবা প্রদান শেষ হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি।
Duare Sarkar প্রকল্প-এ দেওয়া হবে ৩৬ ধরনের পরিষেবা :
এবারের দুয়ারে সরকারের কর্মসূচিতে রাজ্যজুড়ে প্রায় ২ লক্ষ্য শিবির গড়ে তোলা হবে। তাতে ৩৬ ধরনের পরিষেবা দেওয়া হবে। এছাড়া আদিবাসী এলাকা এবং সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভ্রাম্যমান শিবিরের ব্যবস্থা করা হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার এই ধরনের ভ্রাম্যমান শিবির করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এবারের দুয়ারে শিবিরে চা বাগান, আদিবাসী এবং সুন্দরবন এলাকায় বিশেষভাবে নজর দেওয়ার জন্য জেলা শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকারের শিবিরে অভিযোগ জানানোর জন্য থাকবে বাক্স। তার পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষার শিবিরও থাকবে। দুয়ারে সরকারে খাদ্য সাথী, স্বাস্থ্য সাথী এবং বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন : শীতের বৃষ্টিতে কৃষকদের সর্বনাশ! ক্ষতিপূরণ দেবে মমতা সরকার! কীভাবে পাবেন? https://toonbangla.com/compensation-to-affected-farmers-announced-by-government-of-west-bengal/
থাকছে আরও একাধিক পরিষেবা :
এছাড়া এবারের দুয়ারে সরকারে থাকছে লক্ষীর ভান্ডার, ঐক্যশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, বিধবা ভাতা, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, খাদ্য সাথী, স্বাস্থ্য সাথী, মেধাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, বার্ধক্য ভাতা-সহ আরও একগুচ্ছ পরিষেবা।
Duare Sarkar প্রকল্প-এ পরিযায়ী শ্রমিকরা নাম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন :
রাজ্যে দ্বিতীয়বার তৃণমূল ক্ষমতার আসার পর, দুয়ারে সরকার চালু করে। এই প্রকল্পে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের কাছে প্রান্তে ক্যাম্পে করে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে, রবিবার এবং ছুটির দিনে বন্ধ থাকবে এই শিবির। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmi Bhandar), স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড-সহ একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন রাজ্যবাসী। এইবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বার্ধক্য ভাতা এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম রেজিস্ট্রেশন করার সুবিধা যুক্ত করা হচ্ছে।
৪০ জন সিনিয়ার আধিকারিকের দায়িত্বে Duare Sarkar :
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকার ঠিকমতো চলছে কিনা তা দেখার জন্য দায়িত্বে থাকবেন ৪০ জন সিনিয়ার আধিকারিক। এছাড়া, রাজ্য জুড়ে ৪৫০ টি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার গত তিন বছরে এখনও পর্যন্ত ৮ কোটি মানুষ দুয়ারে সরকারের শিবির থেকে পরিষেবা পেয়েছেন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতিগত শংসাপত্র ভুয়োভাবে তৈরি হচ্ছে বলে প্রশ্ন তোলেন। এদিনের বৈঠকে জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে জেলাশাসকদের বিশেষ নির্দেশ দেন জেলাশাসক।
পলি হাউস ও শেড নেটের আবেদন গ্রহণ করা হবে Duare Sarkar প্রকল্প-এ :
শুক্রবার থেকে রাজ্যের অন্য জেলার সঙ্গে মুর্শিদাবাদেও শিবির শুরু হচ্ছে। সেই শিবিরে এ বারই প্রথম উদ্যানপালন দফতরের পলি হাউস ও শেড নেটের প্রকল্পের আবেদন গ্রহণ করা হবে। এই প্রকল্প অনেক আগে থেকে থাকলেও ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে আবেদন করা যেত না। প্রকল্পে যা খরচ হবে তার অর্ধেক টাকা সরকার ভর্তুকি দেবে। ৫০০ বর্গমিটার জমির পলি হাউস তৈরি করতে পাঁচ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে। তার অর্ধেক টাকা সরকার দেবে। তেমনই, এক হাজার বর্গমিটার শেড নেটের ক্ষেত্রে সাত লক্ষ ১০ হাজার টাকা খরচ হবে। সেখানে সরকার তিন লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা ভর্তুকি দেবে।