বহু মানুষই মনে করেন বিভিন্ন বিলাসবহুল বস্তুতে প্রচুর টাকা ব্যয় করার তুলনায় জমিজমা কেনা থেকে শুরু করে সোনার গহনায় বিনিয়োগ অনেক বেশি কার্যকরী। যে সমস্ত ব্যক্তিদের নিজস্ব জমি রয়েছে এবং যারা নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার খাতিরে যথেষ্ট জমি কিনে রেখেছেন তাদের জন্য রাজস্ব বিভাগের তরফে এক বিশেষ আপডেট কার্যকর করা হয়েছে। রাজস্ব বিভাগের তরফে কার্যকরী এক নির্দেশিকার মাধ্যমে সমগ্র ভারতের সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে জমি সংক্রান্ত এক বিশেষ নিয়ম সম্পর্কে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজস্ব বিভাগের তরফে কার্যকরী এই বিশেষ নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসায় জমি সংক্রান্ত নতুন নিয়ম নিয়ে সমগ্র ভারতের সাধারণ জনগণের মধ্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যার ফলে আজকের এই পোস্টে আমরা রাজস্ব বিভাগের তরফে কার্যকরী জমি সংক্রান্ত এই বিশেষ নির্দেশিকা এবং নতুন নিয়ম সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করতে চলেছি।
রাজস্ব বিভাগের তরফে কার্যকরী জমি সংক্রান্ত নতুন নিয়মটি কি?
রাজস্ব বিভাগের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, যে সমস্ত ব্যক্তিদের নিজস্ব জমি রয়েছে তাদের আগামী দিনে নিজস্ব জমির সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করতে হবে, এমনটাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে রাজস্ব বিভাগের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের তরফে। সমগ্র ভারতের বহু ক্ষেত্রে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন প্রকার জালিয়াতি হয়ে থাকে। একই জমি একাধিক ব্যক্তিকে বিক্রি করা থেকে শুরু করে অন্যের জমি নিজের নামে করে নেওয়ার মতো অন্যায়েরও নজির মিলেছে বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্যে। আর এই সমস্ত সমস্যা দূর করার জন্যই রাজস্ব বিভাগের তরফে এই নতুন নিয়মটি কার্যকর করা হয়েছে, এমনটাই দাবি করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলের কর্তা ব্যক্তিদের তরফে। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রাজস্ব কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে এক বিশেষ নোটিশ জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, জমাবন্দী রায়তের জমিকে আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য রাজস্ব ও ভূমি সংস্কার দফতরের তরফে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের আধিকারিকদের উদ্দেশ্যেও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
নিজের জমিকে আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত করার ফলে কি কি সুবিধা মিলবে?
রাজস্ব বিভাগের তরফে কার্যকরী নির্দেশিকা অনুসারে জানা গিয়েছে যে, নিজস্ব জমির সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত করা হলে জমি নিয়ে জালিয়াতির পরিমাণ কমবে। জমির সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত করা হলে জালিয়াতি করে অন্যের জমিকে নিজের নামে করা যাবে না। এমনকি বিভিন্ন রিপোর্ট অনুসারে অন্যের জমি নিজের নামে জাল রেজিস্টার করার মত যে ঘটনাগুলি উঠে এসেছে আধার কার্ডের সঙ্গে জমি লিংক করা হলে এই রকম অপ্রীতিকর ঘটনার সংখ্যাও কমবে বলেই দাবি করেছেন রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তারা। এছাড়াও জমাবন্দিতে আধার কার্ড যুক্ত করার ফলে আগামী দিনে যেকোনো রকম সমস্যা এবং জালিয়াতি থেকে সাধারণ নাগরিকরা মুক্তি পাবেন, এমনটাই দাবি করা হচ্ছে রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট মহলের কর্তা ব্যক্তিদের মতে, আধার কার্ড এবং জমিয়ে লিংক করা হলে আগামী দিনে বেনামি জমির পরিমাণ কমবে। এমনকি বেনামি জমির মাধ্যমে ইনকাম ট্যাক্সের ক্ষেত্রে ফাঁকি দেয়ার যে প্রবণতা রয়েছে তাও কমানো সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:- এবার থেকে YONO অ্যাপের মাধ্যমে UPI পেমেন্ট করা যাবে, জেনে নিন পদ্ধতি।
কিভাবে নিজস্ব জমি আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব?
আধার কার্ডের জমি লিংক করার ক্ষেত্রে জমাবন্দী রায়তকে তার মালগুজারির রসিদ সহ হালকার কর্মচারীর আধার কার্ডের ফটোকপি এবং তার সঠিক মোবাইল নম্বর জমা করতে হবে। এরপর রাজস্ব বিভাগের কর্মচারীদের তরফে জমাবন্দী রায়তের মোবাইল নম্বর তার আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। তবে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে মূল যে সমস্যাটি সম্মুখীন হতে হচ্ছে তা হল, এমন অনেক জমাবন্দী রয়েছে যাদের ভাড়াটিয়া মারা গেছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত মৃত ভাড়াটিয়ার নামেই রাজস্ব রশিদ কাটা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির নামের রাজস্ব রশিদ কাটার কারণে ভূমি দপ্তর এবং রাজস্ব অধিকারিকদের যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবার জন্য এক বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করছেন ভূমি ও রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকরা।
বিভিন্ন সূত্রের মারফত প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, মৃত একাউন্টধারী রেজিস্টার তার আইনসম্মত উত্তরাধিকারী অথবা পরিবার কিংবা নিকট আত্মীয়ের আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে রাজস্ব এবং ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জমির সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করার মাধ্যমে সব ক্ষতি শেষের জমি সংক্রান্ত জালিয়াতির পরিমাণ কমাতে উদ্যোগী রাজস্ব বিভাগ। আর তাই রাজস্ব বিভাগের তরফে এই বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, এমনটাই দাবি করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলের কর্তা ব্যক্তিদের তরফে।