বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য বিশেষ ভাতার (Government Stipend) সিদ্ধান্ত নিল সরকার। রাজ্য সরকার (West Bengal)কিংবা কেন্দ্র সরকার সাধারণ মানুষদের সুবিধা অসুবিধার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম প্রকল্প নিয়ে আসে। তার মধ্যে অন্যতম হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী ও বার্ধক্য ভাতা প্রমূখ। এবার আরেকটি অভিনব প্রকল্প (Government Stipend) নিয়ে এল রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার মিলিত ভাবে। এই ভাতার (Government Stipend) ৬০ শতাংশ খরচ রাজ্য সরকার দেবে আর বাদবাকি খরচ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্র-রাজ্য মিলিত প্রচেষ্টায় Government Stipend :
দেশে সবেমাত্র শেষ হয়েছে উৎসবের মরশুম, কিন্তু এর মধ্যে একটি বড় সমস্যার সবার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে তা হলো বেকারত্ব। বেকারত্বের আসল যন্ত্রণা শুধুমাত্র একজন বেকারই সবথেকে ভালো বুঝতে পারবে। দেশের বহু যুবক-যুবতী উচ্চশিক্ষা লাভ করার পরও বেকার হয়ে জীবনযাপন করছেন যা সবথেকে যন্ত্রনার। ভালো চাকরি না পেয়ে জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে হেরে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। দেশের পক্ষে এই ঘটনা খুবই লজ্জাজনক। দেশের এই বিশাল সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে কেন্দ্র এবং রাজ্য মিলিতভাবে একটি প্রচেষ্টা (Government Stipend) করেছে।
এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ Government Stipend :
এই অভিনব প্রকল্পের নাম এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রকল্প। অনেকেই এই এমপ্লয়মেন্ট অফিসের নাম শুনেছেন। এখানে গিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর নিজের সমস্ত নথি দিয়ে নাম নথিভূক্ত করে আসতে হয়। সরকার থেকে প্যানেল অনুযায়ী জবের জন্য ডাক দেয়। তবে বর্তমানে এই রাজ্যে চাকরির যা অবস্থা। লাখ লাখ যুবক যুবতীরা বড়ো বড়ো ডিগ্রি নিয়ে বসে আছে কিন্ত কোনো চাকরির দেখা নেই। হয় পরীক্ষা ঠিক মতন হয় না নয় পরীক্ষা হলেও নিয়োগ হয়না। নিয়োগ নিয়েও কিছু ক্ষেত্রে চলছে দুর্নীতি আর সেটা নিয়ে হচ্ছে মামলা। এই অবস্থায় বেকার যুবক যুবতীদের মনে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা কমেছে আজকাল। তাদের মধ্যে একটা হতাশা ভাব বেড়ে উঠছে।
কর্মসংস্থানমুখী ট্রেনিং প্রোগ্রামের অংশ হলে তবেই Government Stipend :
এখানে আরেকটি বিষয় আপনাদের জেনে রাখা দরকার কেন্দ্রীয় সরকার কিন্তু পুরোপুরি টাকাটা দেবে না, দেবে শুধুমাত্র ৬০ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ক্ষমতাশীল সরকারকে বাকি ৪০ শতাংশ টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে স্ব কর্মসংস্থান নির্দেশিকা, এর দ্বারা কেন্দ্রে যে বেকারদের নাম নথিভুক্ত থাকবে ও পাশাপাশি যারা এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ এর কর্মসংস্থানমুখী ট্রেনিং প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকবেন শুধুমাত্র তারাই কিন্তু এই টাকাটি (Government Stipend) পাবেন।
আরও পড়ুন : এবার থেকে সব শনিবারই ব্যাঙ্ক ছুটি! বিরাট ঘোষণার পথে RBI, কী হতে চলেছে?
কারা আবেদন করতে পারবেন ?
এই প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এছাড়া তাকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। তার পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষের কম হতে হবে। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো আবেদনকারীকে অবশ্যই এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ অফিসে সর্বনিম্ন দুই বছর পূর্বে নাম নথিভুক্ত করে রাখতে হবে।
এছাড়া আবেদনকারীকে কোনো কাজের সাথে যুক্ত থাকলে হবে না। অর্থাৎ তাকে বেকার হতে হবে। উপরিউক্ত পয়েন্ট গুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে আপনি এই প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করতে পারেন। আর সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা করে ভাতা পেয়ে যাবেন।
কত টাকা করে Government Stipend পাওয়া যাবে ?
সূত্র মারফত জানা গেছে যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রশিক্ষণ চলাকালীন এবং প্রশিক্ষণের পর যতদিন না তারা চাকরি পাচ্ছেন ততদিন বেকার রা ২৫০০ টাকা করে ভাতা পাবেন (Government Stipend)। রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য এর থেকে বড় সুখবর আর হতে পারে না। এই প্রকল্পের সুবিধা শুধুমাত্র নিতে পারবেন ঝাড়খন্ড, উত্তরাখণ্ড, আসাম, ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের বেকাররা।
আপনিও কি এই ধরনের সুবিধা নিতে চান?
অবশ্যই কিছু বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। যেমন আপনাকে অবশ্যই উচ্চ মাধ্যমিক পাস হতে হবে, বেকার হতে হবে, সরকারি স্ব-কর্মসংস্থান নির্দেশিকা কেন্দ্রে উক্ত বেকারের নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে এবং তাদের প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের অংশ হতে হবে এবং পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার মধ্যে থাকতে হবে। সাথে দু’বছর এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে। অবশ্যই আপনার বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। কেন্দ্রীয় সরকারের এমপ্লয়েন্টমেন্ট এক্সচেঞ্জে নাম নথিভুক্ত করতে https://dge.gov.in/dge/schemes_programmes লিঙ্কে ক্লিক করুন।