এসএসসি অভিযানকে (SSC Campaign) কেন্দ্র করে চুঁচুড়ায় অবস্থিত শিক্ষক সুমন বিশ্বাসের বাড়িতে ভোরেবেলায় হঠাৎ করেই নজিরবিহীন পুলিশি অভিযান ঘটে। ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রেক্ষাপটে পুরো পরিবারই আতঙ্কিত ও বিস্মিত আছেন এখনও। তাদের প্রশ্ন, কি কারণে পুলিশের এমন আচরণ—একজন যোগ্য শিক্ষক ও আন্দোলনকারীকে কেন অপরাধী হিসাবে ভাবা হচ্ছে? পুরো ঘটনাটি জানতে হলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়তে হবে।
সুমন বিশ্বাস হলেন বেথুয়াডহরী মেজপোতা হাইস্কুলের জীববিজ্ঞানের শিক্ষক। যার এসএসসি স্ক্যান্ডেলের জন্য চাকরি চলে যায়। তাই তিনি এই মুহূর্তে চাকরিহারা শিক্ষকদের অধিকার রক্ষা জন্য আন্দোলন চালানোর সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি তিনি এসএসসি ভবন অভিযানে যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকদের নিয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই অভিযানের ঠিক আগের দিনই তাঁর বাড়িতে পুলিশ সকাল ৫:৩০টা নাগাদ হানা দিয়ে বাড়ির লোকের অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করে। পরিবারের অভিযোগ অনুসারে, পুলিশ সদস্যরা বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায়, এর মধ্যে খাটের নীচে এবং আলমারিতেও নজর দেয়। যদিও সুমন বাড়িতে না থাকায় পুলিশ তাকে না পেয়ে ফিরে যায়।
পরে তার ভাই সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, পুলিশ আগে থেকেই বাড়ি পাহারা দেওয়া চালু করেছে । রাতভর সেই পাহারাদারি চলেছে যেন চোরের বাড়ি পাহারা দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “আমার দাদা একজন নিরীহ ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অংশীদার। অথচ পুলিশ তাকে অপরাধী গণ্য করে রাতারাতি এমন তল্লাশি চালাচ্ছে, যেখানে অসুস্থ বাবা-মা এবং সন্তান স্ত্রী সবাই আতঙ্কিত হয়েছে পড়ছে। দাদার অপরাধ কোথায়?”
তবে বিধাননগর পুলিশ দাবি করেছে, কিছু উত্তেজক স্বর যুক্ত অডিও ক্লিপ পাওয়া গেছে, যেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে সহিংসতার পরিকল্পনার কথা শোনা যায়। তবে সুমন বিশ্বাস এই অভিযোগ সরলভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বলছেন, এমন কোনো অবৈধ বা অশান্তিপূর্ণ কর্মসূচির অংশ তারা নন।আদালতের তরফ থেকে এসএসসি ভবনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নির্দেশ থাকলেও উত্তেজনার আবহে পুলিশ কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে চাকরিহারা শিক্ষক সমাজের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তারা এখন আইনের যথাযথ বিচার এবং নিজেদের শান্তিপূর্ণ অধিকার আদায়ের সুরক্ষায় সরকারের সামনে দাবি তুলছেন। তবে সুমন স্পষ্ট জানান, সে ও তার অনুগামী শিক্ষকরা শুধুমাত্র ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সমর্থন করেন। তারা আরও জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আমাদের লড়াই কোনোমতেই থামবে না।’’