আগামী ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর নতুন ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’(The Bengal Files)। ছবিটি ১৯৪৬ সালের প্রাসঙ্গিক “ডিরেক্ট অ্যাকশন ডে” ও বাংলার তৎকালীন সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পটভূমিতে তৈরি, যেখানে বাংলার ঐতিহাসিক ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায় বর্ণিত হয়েছে। এই সিনেমার মাধ্যমে সময়ের কালো চিত্র এবং দেশের বিভক্তির যন্ত্রণার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র গোপাল পাঠার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সৌরভ দাস, যিনি আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি দলেও যোগদান করেন, কিন্তু পরবর্তীতে দলের কার্যক্রমে খুব একটা দেখা যায়নি তাঁকে। এবার ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এ তাঁর অভিনয় নিয়ে বিতর্কের আগুন আরও জ্বলেছে। সৌরভ দাস নিজে জানিয়েছেন, ধর্মের নামে চলা বিভ্রান্তি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্যই তিনি এই চরিত্রটি গ্রহণ করেছেন, যা রাজনীতি ও মতাদর্শের বাইরে।
পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী অভিযোগ করেছেন, কলকাতায় চলচ্চিত্রের ট্রেলারের লঞ্চ একপ্রকার রাজনৈতিক কারণেই বাতিল করতে হয়েছে। তিনি বলেন, এই মাটিতে, যেখানে সত্যজিৎ রায়ের মতো মহাকাব্য নির্মাতা কাজ করেছেন, সেখানে এমন বাধার সম্মুখীন হতেই হয়, এটা ভাবতেই কঠিন।
ছবির ট্রেলারে এমন কিছু দৃশ্য আছে যা দর্শককে ভাবিয়ে তুলবে, কারণ সেখানে হিন্দুদের ওপর জঘন্য গণহত্যার ঘটনাটি খুব স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। সৌরভ দাস নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “একটি সাহসী ছবি যা হিন্দু গণহত্যার অজানা কাহিনি খুঁজে এনেছে।” এই ছবিতে সৌরভ ছাড়াও থাকছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, দর্শন কুমার সহ আরও অনেকে।
রাজনীতি ও সামাজিক প্রেক্ষাপট মিলিয়ে ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বাংলার অতীত নিয়ে। সিনেমায় উঠে এসেছে তৎকালীন বিভাজন ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বাস্তবতা। বর্ণাঢ্য বিতর্ক ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মুখে আগামী সেপ্টেম্বর এই সিনেমাটি মুক্তি পাবে। তখন উৎসুক দর্শকরা জানবেন, ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ কতটা সফলভাবে অতীতের সত্য ঘটনা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে এবং এর সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব কেমন হবে। তবে যা বিতর্ক চলছে , তাতে নিঃসন্দেহে সিনেমাটি রাজ্যের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আলোচনার একটি বড় অংশ হয়ে উঠতে চলেছে।